এই প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়া অবধি ফেসবুকে প্রচারিত উক্ত দাবির একটি ভিডিও-ই দেখা হয়েছে প্রায় ২০ লাখ ১০ হাজার বার। এছাড়াও ভিডিওটিতে প্রায় ৫৬ হাজার পৃথক অ্যাকাউন্ট থেকে প্রতিক্রিয়াও দেখানো হয়েছে। পাশাপাশি প্রায় ১৮ হাজার বার ভিডিওটি শেয়ার করা হয়েছে।
ফ্যাক্টচেক
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, গ্রামীণ ব্যাংকে আগুন দেওয়ার ঘটনায় বিএনপির নেতাকর্মীদের আটক করার দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটি আসল নয়। প্রকৃতপক্ষে, আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে তৈরি করা হয়েছে।
আলোচিত দাবিটির বিষয়ে অনুসন্ধানে গণমাধ্যম কিংবা অন্যকোনো নির্ভরযোগ্য সূত্রে গ্রামীণ ব্যাংকে আগুন দেওয়ার ঘটনায় কোনো বিএনপি নেতা বা কর্মী আটক হওয়ার তথ্য পাওয়া যায়নি।
পরবর্তীতে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটি পর্যালোচনা করে দেখে রিউমর স্ক্যানার। পর্যালোচনায় ভিডিওটিতে বেশকিছু এআইজনিত অসঙ্গতি লক্ষ্য করা যায়। ভিডিওটি সূক্ষ্মভাবে লক্ষ্য করলে দেখা যায়, ভিডিওটির ৩ সেকেন্ড সময়ে পাগড়ি পরিহিত ব্যক্তির পেছনে থাকা বৃদ্ধ লোকটির পোশাক টুপি-পাঞ্জাবি থেকে পরিবর্তিত হয়ে পুলিশের পোশাকে পরিণত হয়। পুনরায় ৭ সেকেন্ডে তার পোশাক টুপি-পাঞ্জাবিতে পরিবর্তন হয়ে যায়। এছাড়াও লক্ষ্য করা যায়, ভিডিওতে দেখতে পাওয়া পুলিশের পোশাকের সাথে বাংলাদেশ পুলিশের পোশাকের পার্থক্য রয়েছে।

পাশাপশি ভিডিওটির নিচের ডান কোণে ‘Veo’ নামের একটি জলছাপ রয়েছে। অনুসন্ধানে জানা গেছে, ‘Veo’ গুগলের একটি উন্নত এআই টুল, যা টেক্সট প্রম্পট থেকে ৮ সেকেন্ডের বাস্তবসম্মত ভিডিও তৈরি করতে সক্ষম। এই ভিডিওটির দৈর্ঘ্যও ৮ সেকেন্ড।
বিষয়টি আরও নিশ্চিতের জন্য এআই কনটেন্ট শনাক্তকারী প্ল্যাটফর্ম Hive Moderation এ ভিডিওটি পরীক্ষা করলে দেখা যায়, এটি এআই দিয়ে তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা ৯৯ শতাংশ।

সুতরাং, এআই দিয়ে তৈরি একটি ভিডিওকে গ্রামীণ ব্যাংকে আগুন দেওয়ার ঘটনায় বিএনপির নেতাকর্মীদের আটক করা হয়েছে দাবিতে প্রচার করা হয়েছে, যা সম্পূর্ণ মিথ্যা।
তথ্যসূত্র
- Hive Moderation
- Rumor Scanner’s Analysis






আপনার মতামত লিখুন :